গরম বেড়ে যাওয়ার ফলে ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

গরম বেড়ে যাওয়ার ফলে ঋতু পরিবর্তনের কারণে জ্বর: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
বর্তমানে হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেকেই ঋতু পরিবর্তনজনিত জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাপমাত্রার এই আকস্মিক পরিবর্তন শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, যার ফলে সর্দি-কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা ও শরীরের দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই, এ ধরনের জ্বর থেকে বাঁচতে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
ঋতু পরিবর্তনজনিত জ্বরের কারণ:
১. হঠাৎ গরম বা ঠান্ডা পড়ে গেলে শরীর নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সময় নেয়। ২. অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরের পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ৩. বাতাসে ধুলাবালি ও ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যায়, যা সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ৪. ঠান্ডা পানি পান করা বা অতিরিক্ত গরম পরিবেশে থাকার কারণে শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য নষ্ট হয়।
লক্ষণসমূহ:
✔ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া ✔ মাথাব্যথা ও শরীর ব্যথা ✔ দুর্বলতা ও অবসাদ ✔ গলা ব্যথা ও শুকনো কাশি ✔ সর্দি বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ✔ ঘাম হওয়া বা ঠান্ডা অনুভব করা
প্রতিকার ও করণীয়:
✅ পর্যাপ্ত পানি পান করুন – শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। ✅ গরম পানির ভাপ নিন – নাক বন্ধ হলে বা গলা ব্যথা থাকলে গরম পানির ভাপ নেওয়া উপকারী। ✅ পুষ্টিকর খাবার খান – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফল, শাক-সবজি ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। ✅ বিশ্রাম নিন – শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম অত্যন্ত জরুরি। ✅ হালকা গরম পানি পান করুন – ঠান্ডা পানির পরিবর্তে গরম পানি পান করলে গলা ও শ্বাসতন্ত্র ভালো থাকবে। ✅ সরাসরি এসি বা ফ্যানের বাতাস এড়িয়ে চলুন – হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ✅ ডাক্তারের পরামর্শ নিন – জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা:
🔹 অতিরিক্ত গরমে বাইরে বের হলে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন। 🔹 সংক্রমণ এড়াতে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন। 🔹 হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 🔹 অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম খাবার এড়িয়ে চলুন।
ঋতু পরিবর্তনের ফলে জ্বর হলেও, কিছু সতর্কতা ও ঘরোয়া প্রতিকার মেনে চললে সহজেই সুস্থ থাকা সম্ভব। তবে, পরিস্থিতি গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন!