বাংলাদেশের ইউএসএআইডি অনুদান নিয়ে ফের সমালোচনা করলেন ট্রাম্প

বাংলাদেশের ইউএসএআইডি অনুদান নিয়ে ফের সমালোচনা করলেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নয়নের জন্য ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা নিয়ে ফের সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, এই অর্থ ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে সহায়তা করার জন্য দেওয়া হয়েছিল।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করার নামে ২৯ মিলিয়ন ডলার এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে, যার নাম কেউই শোনেনি।”
তিনি আরও বলেন, “২৯ মিলিয়ন ডলার! তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারেন? মাত্র দুজন কর্মী বিশিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান হঠাৎ এত বড় অঙ্কের অর্থ পেয়ে গেল! আমি মনে করি, তারা এখন অনেক ধনী হয়ে গেছে এবং শিগগিরই তারা কোনো নামকরা বিজনেস ম্যাগাজিনের কভারে ‘মহাপ্রতারক’ হিসেবে জায়গা পাবে।”
ভারতের অনুদান নিয়েও ক্ষোভ
শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারতের নির্বাচনেও ইউএসএআইডির ১৮ মিলিয়ন ডলার অনুদান নিয়েও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ভারতে নির্বাচনের জন্য ১৮ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। কেন? আমাদের নিজেদের নির্বাচনে সহায়তা করা উচিত, অন্যদের নয়।”
এর আগে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে আরও কড়া ভাষায় কথা বলেন। ট্রাম্প অভিযোগ করেন, “ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা নেয়, কিন্তু আমাদের সাহায্য করতে আগ্রহী নয়। অথচ, তারা আমেরিকান পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে লাভবান হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর একটি। আমরা কিছু উৎপাদন করার চেষ্টা করলে তারা ২০০ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে দেয়।”
ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক
ট্রাম্পের এই বক্তব্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার এখনো এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য আগামী নির্বাচনের প্রচারণার অংশ, যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক অনুদান কমিয়ে অভ্যন্তরীণ নীতি জোরদার করার বার্তা দিতে চাইছেন।