ব্যবসা বাণিজ্য

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট: ভোক্তার ভোগান্তি অব্যাহত

বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট: ভোক্তার ভোগান্তি অব্যাহত

সরকারের নীতি সহায়তা ও একাধিকবার শুল্ক-কর কমানো সত্ত্বেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট কাটেনি। ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগে ভোক্তারা ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সংকটের কারণ

  • গত বছরের শেষদিক থেকে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। বোতলজাত তেলের দাম ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮৫ টাকায় ওঠে।
  • সরকারের পক্ষ থেকে শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি এবং ভ্যাট কমানোর পরও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
  • ব্যবসায়ীদের দাবি, রোজার আগে দাম বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে।

সরবরাহের পরিস্থিতি

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুদি দোকানগুলোতে বোতলজাত তেলের সরবরাহ অত্যন্ত সীমিত।

  • জিনজিরা, নয়াবাজার, কাওরান বাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দোকানগুলোতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।
  • ব্যবসায়ীদের মতে, প্রতিদিন পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় চাহিদার ১০-১২ কার্টনের বিপরীতে ২-৩ কার্টন তেল পাওয়া যাচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল উভয়েরই দাম বেশি।

  • খোলা তেল ১৮২-১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ২৮ টাকা বেশি।
  • এক লিটারের বোতলজাত তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও সরবরাহ সীমিত।

বাজার করতে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, সংকটের ফলে একাধিক দোকানে ঘুরেও তেল সংগ্রহ করতে কষ্ট হচ্ছে।
ক্রেতাদের ভাষায়, “সংকট সমাধানের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বছরের শুরুতেও ভোক্তার ভোগান্তি কমেনি।”

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন,
“সরকার ব্যবসায়ীদের নীতি সহায়তা দিলেও তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়তি দামে তেল বিক্রি করছে। এতে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন, কিন্তু তাদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

ভোক্তারা বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button