সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট ও দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা: ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট ও দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা: ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট এক মাস পেরিয়ে গেলেও কাটেনি। এতে সাধারণ ভোক্তারা বিপাকে পড়েছেন। ডিলারদের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকার কারণে খুচরা দোকানগুলোতেও তেলের স্বাভাবিক সরবরাহে টান পড়েছে। এদিকে, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।
তেলের বাজারে অস্থিরতা
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সরেজমিন দেখা গেছে, বোতলজাত পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা মিললেও এক ও দুই লিটারের বোতল প্রায় অনুপস্থিত। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও তা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ
- কৃত্রিম সংকট: কম্পানিগুলো বাজারে তেলের সরবরাহ ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিক্রেতারা।
- দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি: ডিলারদের দাবি, তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার কারণে সরবরাহ সীমিত রাখা হয়েছে।
- বিশ্ববাজারের প্রভাব: বিশ্ববাজারে দাম বাড়ানোর অজুহাতে তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে।
দ্রব্য মূল্যের বর্তমান চিত্র
পেঁয়াজ, আলু ও রসুন
- মুড়িকাটা পেঁয়াজ: কেজি ৫০-৬৫ টাকা।
- নতুন আলু: কেজি ৪০-৪৫ টাকা।
- দেশি রসুন: কেজি ২৩০-২৪০ টাকা।
- আমদানি করা রসুন: কেজি ২১০-২২০ টাকা।
মুরগি ও ডিম
- ব্রয়লার মুরগি: কেজি ১৯৫-২১০ টাকা।
- সোনালি মুরগি: কেজি ৩৩০-৩৫০ টাকা।
- ডিম: প্রতি ডজন ১৪০ টাকা।
সবজি
- শিম: কেজি ৪০-৬০ টাকা।
- ফুলকপি ও বাঁধাকপি: প্রতি পিস ২০-৩০ টাকা।
- বেগুন: কেজি ৪০-৬০ টাকা।
- কাঁচা টমেটো: কেজি ৪০-৫০ টাকা।
- পাকা টমেটো: কেজি ৬০-৭০ টাকা।
- কাঁচা মরিচ: কেজি ৮০ টাকা।
ভোক্তাদের দাবি
সাধারণ ভোক্তারা সয়াবিন তেলের বাজারে স্বচ্ছতা আনতে এবং কৃত্রিম সংকট দূর করতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করছেন। তদারকি সংস্থাগুলোর পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবেই এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা, কৃত্রিম সংকট এবং দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং ভোক্তাদের স্বস্তি ফেরাতে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।