ব্যবসা বাণিজ্য

তিন খাতে ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ: জনগণের চাপের মুখে এনবিআরের নয়া সিদ্ধান্ত

তিন খাতে ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ: জনগণের চাপের মুখে এনবিআরের নয়া সিদ্ধান্ত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে অর্ধশতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ায় সরকার তিনটি খাতে ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। এই তিনটি খাত হলো ওষুধ, রেস্তোরাঁ এবং মোবাইল ফোন।

ভ্যাট বৃদ্ধির পটভূমি

অর্থনৈতিক সংকট এবং আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে এনবিআর গত কয়েক মাসে বেশ কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ায়।

  • অত্যাবশ্যকীয় ওষুধে ভ্যাট ২.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়।
  • রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে এক লাফে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
  • মোবাইল সিম ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করা হয়।

এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে এবং ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

নতুন সিদ্ধান্ত

গণ-অসন্তোষ এবং অর্থনৈতিক চাপ বিবেচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের মধ্যে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টার নির্দেশনায় দ্রুত ওষুধ, রেস্তোরাঁ এবং মোবাইল খাতের ওপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সম্ভাব্য প্রভাব

১. ওষুধ: জরুরি ওষুধের খরচ কিছুটা কমবে, যা স্বাস্থ্য খাতে স্বস্তি আনবে।
২. রেস্তোরাঁ: ভ্যাট কমলে রেস্তোরাঁয় খাবারের খরচ কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
৩. মোবাইল: সিম ব্যবহারের শুল্ক কমানোয় কল রেট ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ কমবে।

একজন এনবিআর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্যাট বৃদ্ধির মূল কারণ ছিল রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক চাপ। তবে জনসাধারণের ক্ষোভের মুখে সরকার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে কিছুটা পিছু হটছে।অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এই ভ্যাট কমানোর উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button