ক্রিয়া অঙ্গন

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে ফিরলেন নাসুম আহমেদ, নতুন মুখ ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে ফিরলেন নাসুম আহমেদ, নতুন মুখ ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা

নাজমুল হোসেন শান্ত সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অন্যতম উদীয়মান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তবে তিনি একাধিক ফরম্যাটে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে তার আলোচনা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিসিবি শান্তকেই অধিনায়ক রেখে দল ঘোষণা করেছে। শান্তর নেতৃত্ব নিয়ে ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তবে তাকে নিয়ে বিসিবি ও কোচিং স্টাফের আস্থা ব্যাপক।

নাসুম আহমেদ: বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ দলে ফিরে এসেছেন। তার ঘূর্ণি বোলিং আফগান ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, বিশেষ করে শারজার স্পিন-বান্ধব পিচে।

নাহিদ রানা: প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়া ডানহাতি পেসার নাহিদ রানা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করে আসছেন। তার গতিময় বোলিং আক্রমণে নতুন শক্তি যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  1. নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক): শান্তর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স প্রমাণ করেছে যে তিনি দলের জন্য একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান এবং কৌশলী নেতা হতে পারেন। যদিও তার ওপর কিছু সমালোচনাও রয়েছে, তার উন্নত মানসিকতা এবং খেলার প্রতি নিবেদন তাকে শক্তিশালী প্রার্থী করে তুলেছে।
  2. মুশফিকুর রহিম: দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিকুর রহিম ব্যাটিং অর্ডার স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। তার অভিজ্ঞতা ও স্ট্রাইক রোটেট করার দক্ষতা দলকে বিপদের সময় অনেকটা রক্ষা করতে পারে।
  3. মাহমুদউল্লাহ: দীর্ঘদিন দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত মাহমুদউল্লাহ দলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। বিশেষ করে মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ের সময় চাপ সামলানোর জন্য তার ভূমিকা অপরিসীম।
  4. মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক): মিরাজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তাকে দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তার স্পিন ও ব্যাটিং দুইই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
  5. তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান: বাংলাদেশের পেস আক্রমণে তাসকিন ও মোস্তাফিজুর রহমানের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ করে আরব আমিরাতের গরম ও শুষ্ক পরিবেশে তাদের অভিজ্ঞতা দলের জন্য সহায়ক হতে পারে।

সিরিজের সময়সূচি:

বাংলাদেশ দল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে ৩ ও ৪ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে রওনা হবে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি হবে ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয়টি ৯ নভেম্বর এবং তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১১ নভেম্বর। সিরিজের প্রতিটি ম্যাচ শারজার বিখ্যাত স্টেডিয়ামে হবে, যেখানে স্পিনাররা সাধারণত ভালো সাফল্য পান।

বাংলাদেশ দল:

১. সৌম্য সরকার
২. তানজিদ হাসান
৩. জাকির হাসান
৪. নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক)
৫. মুশফিকুর রহিম
৬. মাহমুদউল্লাহ
৭. তাওহিদ হৃদয়
৮. জাকের আলী
৯. মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক)
১০. রিশাদ হোসেন
১১. নাসুম আহমেদ
১২. তাসকিন আহমেদ
১৩. মোস্তাফিজুর রহমান
১৪. শরীফুল ইসলাম
১৫. নাহিদ রানা

উপসংহার:

বাংলাদেশের এই স্কোয়াড আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো প্রতিযোগিতা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। দলের নতুন এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে তৈরি স্কোয়াড স্পিনার এবং পেস আক্রমণের দিক থেকে যথেষ্ট শক্তিশালী। এবার দেখার বিষয় হলো, নাজমুল হোসেন শান্ত কেমন নেতৃত্ব দেন এবং তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে কতটা সুষ্ঠু সমন্বয় করতে পারেন।

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button