শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগে জড়িত থাকার পর লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগে জড়িত থাকার পর লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। মূলত খালার ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে বিনামূল্যে সম্পত্তি পাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর চাপের মুখে পড়েন টিউলিপ, যা তার পদত্যাগের অন্যতম কারণ।
পদত্যাগপত্রে টিউলিপের ব্যাখ্যা
টিউলিপ সিদ্দিক তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন যে তিনি মন্ত্রিত্ববিধি ভঙ্গ করেননি এবং তার আর্থিক বা সম্পত্তি সম্পর্কিত কোনো তথ্য অসত্য প্রমাণিত হয়নি। তিনি স্পষ্ট করেন যে তার সব সম্পত্তি বৈধ উপায়ে অর্জিত এবং তিনি এই বিষয়ে পুরোপুরি স্বচ্ছ ছিলেন।
তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে তার ফুপু শেখ হাসিনার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক থাকায় সরকারি কাজের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। তিনি মন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্বের প্রতি আস্থা রাখলেও, এ ধরনের অভিযোগ সরকারি কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন।
বিরোধীদের দাবি এবং রাজনৈতিক চাপ
কনজারভেটিভ নেতা কেমি ব্যাডেনোচ কিয়ার স্টারমারকে টিউলিপকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ ছিল, শেখ হাসিনার সহযোগীদের দেওয়া সম্পত্তিতে টিউলিপ সিদ্দিক বসবাস করতেন। যদিও তিনি এ অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন এবং নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ মূলত তার পারিবারিক সম্পর্ক এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির চাপ থেকে এসেছে। যদিও তদন্তে তিনি কোনো মন্ত্রিত্ববিধি ভঙ্গ করেননি বলে প্রমাণিত হয়েছে, তবে বিভ্রান্তি এড়াতে এবং লেবার সরকারের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ ব্রিটিশ রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। তার পদত্যাগ লেবার পার্টির মন্ত্রীপরিষদে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় এবং পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতার কারণে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আসা চ্যালেঞ্জগুলোকেও স্পষ্ট করে।