সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু

সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু
সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাসের পাইপলাইন লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে শিউলি আক্তার (৩৫) মারা গেছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টা ২৫ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে মৃত্যু
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, শিউলি আক্তারের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।
গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা
গত শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় আমজাদ বেপারীর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকা গ্যাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শিউলি আক্তারসহ ১১ জন দগ্ধ হন।
দগ্ধদের মধ্যে আছেন—
🔹 সুমন মিয়া (৩০)
🔹 মোছা. সূর্য্য বানু (৫৫)
🔹 জহুরা বেগম (৭০)
🔹 মো. মনির হোসেন (৪৩)
🔹 সোহেল (৩৮)
🔹 শারমিন (২৫)
🔹 ছামিন মাহমুদ (১৫)
🔹 মাহাদী (৭)
🔹 সোয়ায়েদ (৪)
🔹 মোছা. সুরাহা (৩)
শবেবরাতের রাতে পিঠা বানানোর সময় বিস্ফোরণ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শবেবরাত উপলক্ষে পিঠা বানানোর সময় রান্নাঘরে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। দগ্ধ সোহেল রানা বলেন,
“আমার ভাই সুমনের বাসায় পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে পিঠা বানানোর সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। আমাদের পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়েছে।”
চিকিৎসাধীন দগ্ধদের অবস্থা
দগ্ধদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
👉 স্থানীয়রা গ্যাস লিকেজজনিত সমস্যার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।