সচিবালয়ের আগুনের ১১ দিন পর স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু: খুলে দেওয়া হলো ৭ নম্বর ভবন
সচিবালয়ের আগুনের ১১ দিন পর স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু: খুলে দেওয়া হলো ৭ নম্বর ভবন
১১ দিন পর সচিবালয়ের কার্যক্রম অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নম্বর ভবন খুলে দেওয়া হয়েছে। ভবনের নয় তলার মধ্যে পুড়ে যাওয়া চারটি তলা ছাড়া বাকি পাঁচ তলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুনরায় অফিস শুরু করেছেন।
আগুন লাগার পর থেকে সচিবালয়ে উপদেষ্টা এবং সচিব ছাড়া অন্য কারো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়িও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ৭ নম্বর ভবনে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছাড়া কারো প্রবেশের অনুমতি ছিল না। আজ থেকে সকলের জন্য ভবনটি উন্মুক্ত করা হলেও পাঁচতলার উপরের ফ্লোরগুলোতে শুধুমাত্র গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
পাঁচতলার পূর্ব পাশে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিম পাশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অফিস রয়েছে। চারতলায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, তিনতলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, দুইতলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যক্রম চলছে।
তবে ভবনের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। দুইতলার মেঝেতে আগুনের ছাইয়ের কালো দাগ রয়েছে, লিফট বন্ধ রয়েছে এবং ভবনে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও চালু হয়নি। পাঁচতলায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
ভবনের উপরের চারটি তলা (৬ থেকে ৯ তলা) ভয়াবহভাবে পুড়ে গেছে। মেঝে ধসে পড়েছে এবং সিঁড়ি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চারটি ফ্লোরের দেওয়ালের অংশবিশেষ খসে পড়েছে এবং পুরো ফ্লোর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর রাতে ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ৬ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নিভতে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশন থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।