সারাদেশ

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগরতলা অভিমুখে লং মার্চের পরিকল্পনা বিএনপির

ভারতের আগ্রাসী মনোভাব এবং বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে লং মার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির তিনটি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এই লং মার্চ ঢাকার নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সীমান্ত এলাকায় গিয়ে শেষ হবে।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, পতাকা অবমাননা এবং ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা মনে করছেন, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং এখন সরাসরি প্রতিবাদ কর্মসূচির দিকে এগোচ্ছে।

১. শুরু: ঢাকার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে।
২. সমাপ্তি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত।
3. পথসভা: লং মার্চের পথে বিভিন্ন স্থানে পথসভা আয়োজন।
4. সমাবেশ: আখাউড়ায় সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি।

এ কর্মসূচির চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারণে আজ নয়াপল্টনে তিন সংগঠনের নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও ভারতের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে সমালোচনা করা হয়।বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ভারতের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দেন।লং মার্চের পরিকল্পনায় সংশ্লিষ্ট নেতারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের স্বার্থ সবার ঊর্ধ্বে।আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে লং মার্চ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো ভারতের প্রতি প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেদের অবস্থান জোরালো করতে চায়। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে।আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ: ভারতের আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button