বিএনপি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চায় না: মির্জা ফখরুলের মন্তব্যে নতুন আলোচনা
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ইস্যুতে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় মির্জা ফখরুল বলেন, “রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা কারও নেই, এ বিষয়ে জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।” তিনি মনে করেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি তৈরি ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টির জন্য এসব ইস্যু উত্থাপন করা হচ্ছে, যা জনগণের মনোযোগ সরিয়ে দিতে এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি সবাইকে এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর এবং দল নিষিদ্ধের দাবি উত্থাপন নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, “যা কোনো ইস্যুই নয়, তাকে ইস্যু বানানো হচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এসব ইস্যু আনা হচ্ছে, যা সঠিক গণতান্ত্রিক পরিবেশে অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে।
স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, সাবিহউদ্দিন আহমেদ একজন দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী আদর্শের মানুষ ছিলেন, যিনি মানুষের হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন। তার দেশপ্রেম ও গণতন্ত্রের প্রতি অবদান সব সময়ই মানুষ স্মরণ করবে।
মির্জা ফখরুলের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ ছড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন মহল এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করছে। কেউ কেউ মনে করছেন, রাজনীতিতে বিরোধীদলের অবস্থান নড়বড়ে করতে এই ধরনের দাবি উঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে, মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে আরও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দল নিষিদ্ধের মতো বিষয়গুলো সাধারণত কোনো স্থিতিশীল পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয় না। এ ধরনের পরিস্থিতি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে বলে অনেকের মতামত। অন্যদিকে, রাজনীতিবিদরা ইস্যুটিকে কীভাবে গ্রহণ করেন, তা রাজনৈতিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।এই বক্তব্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলির মাঝে সুস্থ ও শক্তিশালী বিরোধী ভূমিকা থাকলে গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় হতে পারে।