সারাদেশ

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির: শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরের বিপক্ষে কথা বলতে ভীত

ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরের বিপক্ষে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা ভীত-সন্ত্রস্ত যে, কখন না জানি রগ কেটে দেয়।”

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে

নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “সিলেটের এমসি কলেজে মতামত প্রকাশের কারণে একজন শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯৫২ সালেও ভাষার দাবিতে আন্দোলনরতদের বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল, আজও একই পরিস্থিতি বিরাজমান।”

তিনি আরও বলেন, “একজন শিক্ষার্থী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল, ‘শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি রগকাটা রাজনীতি’। এর জবাবে শিবিরের কর্মীরা তাকে হুমকি দিয়েছে, ‘রগ তো কাটিনি, তোমাকে দিয়ে শুরু করব’। এমনকি তার বক্তব্য পরিবর্তন করতে গণমাধ্যমকর্মীদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।”

ছাত্রদলের অবস্থান ও আহ্বান

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক জানান, আহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের একটি প্রতিনিধি দল কথা বলেছে, এবং তিনি এখনো আতঙ্কে আছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা চাই, সবাই মুক্তভাবে মতপ্রকাশের সুযোগ পাক। মতপ্রকাশ যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।”

এর আগে রাত পৌনে ১টায় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “দীর্ঘদিন পর আমরা সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে একত্রিত হয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পেরেছি। অতীতে ২১ ফেব্রুয়ারিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে, তবে এবার আমরা নিয়ম মেনে সিরিয়াল অনুযায়ী ফুল দিয়েছি।”

সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংযত আচরণের অনুরোধ

ছাত্রদল নেতারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই চেতনাকে সমুন্নত রাখতে শিক্ষার্থীদের ভীতির পরিবেশ থেকে মুক্ত করা জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button