সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি: ‘নিজেরা হানাহানি করলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে’

সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি: ‘নিজেরা হানাহানি করলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে’
ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সকল পক্ষকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি, মারামারি ও কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, “এই দেশ আমাদের সবার। আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারি।”
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে শাহাদাতবরণকারী শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ করা হয়।
নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে আশাবাদ প্রকাশ করে সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা দেশে একটি ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ নির্বাচন দেখতে চাই। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
তিনি আরও জানান, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর আলোচনায়ও এই বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। “ড. ইউনূস চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে। আমাদের উচিত তাঁকে সহযোগিতা করা, যাতে তিনি সফল হতে পারেন,” বলেন সেনাপ্রধান।
সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ না করার আহ্বান
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য না দিতে সবাইকে সতর্ক করে জেনারেল ওয়াকার বলেন, “আমরা একমাত্র ফোর্স, যারা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অনুপ্রাণিত করুন, উপদেশ দিন, কিন্তু আক্রমণ করবেন না।”
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পিলখানা হত্যাকাণ্ড
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক বিভেদকে দায়ী করে তিনি বলেন, “আমরা যদি সংগঠিত থাকি, তাহলে সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।”
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যেসব সদস্য শাস্তি পেয়েছেন, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।”
সেনাপ্রধান বলেন, “আমাদের নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা উচিত নয়। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে।”