সারাদেশ

ধর্মীয় উন্মাদনা ও বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মির্জা ফখরুল

ধর্মীয় উন্মাদনা ও বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মির্জা ফখরুল

ধর্মীয় উন্মাদনা ও বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মির্জা ফখরুল

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “ধর্মকে কেন্দ্র করে যে উন্মাদনা শুরু হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এভাবে বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।”

বুধবার (২৭ নভেম্বর) নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত হানার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য পত্রিকার ওপর যে আক্রমণ চালানো হচ্ছে, তা নিন্দনীয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়াই করেছি এবং সেটা বজায় রাখতে হবে।”

তিনি প্রশ্ন করেন, “এক ফ্যাসিস্ট শাসন উত্খাতের পর আবার নতুন একটি দমনমূলক সংস্কৃতির সৃষ্টি করা হচ্ছে। গণতন্ত্র মানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। একে দমন করার মানে গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুতি।”

বিভাজনের রাজনীতি দেশের জন্য ভয়ঙ্কর উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশে বিভেদ সৃষ্টি করে কিছু লোক নিজেদের জনপ্রিয় মনে করছে। অথচ এই বিভাজন জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে এই বিভাজনই আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে আমাদের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, এবং মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য একযোগে কাজ করতে হবে।”

বিএনপি মহাসচিব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই সরকার কোনো দয়ার দান নয়, বরং জনগণের রক্তের ওপর দিয়ে গঠিত। তাদের উচিত সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাওয়া।”

তিনি সরকারের উপদেষ্টাদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, “এ ধরনের কথা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা আমাদের জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চাই। বিভাজন ও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করা যাবে না।”

আলোচনাসভায় বিএনপির নেতারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সংকট সমাধানের আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button