আন্তজার্তিক অঙ্গন

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বড় জয়, মোদির প্রতিশ্রুতি উন্নয়নের

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বড় জয়, মোদির প্রতিশ্রুতি উন্নয়নের

নয়াদিল্লি: ২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বড় জয় পেয়েছে। শনিবার ভোট গণনার পর দলটির ব্যাপক বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স (সাবেক টুইটার) -এ পোস্ট করে এই জয়কে ‘উন্নয়ন ও সুশাসনের বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন।

মোদি বলেন, ‘আমার সব ভাই-বোনকে অভিনন্দন ও প্রণাম, বিজেপিকে ঐতিহাসিক বিজয় দেওয়ার জন্য… আপনাদের সবার প্রতি আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ।’ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, দিল্লির উন্নয়ন ও মানুষের জীবনমান উন্নত করতে বিজেপি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই জয়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘মোদি দিল্লির হৃদয়ে আছেন এবং ভোটাররা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের “শিসমহল” ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, দিল্লি তাদের শিক্ষা দিয়েছে।

দুই দশকের বেশি সময় পর দিল্লিতে ক্ষমতায় বিজেপি দীর্ঘ ২২ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে বিজয় নিশ্চিত করেছে দলটি, যেখানে বিদায়ী শাসক দল আম আদমি পার্টি (আপ) পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। ২০১৫ সালে আপ ৬৭টি এবং ২০২০ সালে ৬২টি আসন পেয়েছিল, যেখানে বিজেপির আসন সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩ ও ৮। তবে এবার বিজেপি মধ্যবিত্ত ও নারী ভোটারদের টার্গেট করে নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ায় তাদের ভোটের ব্যবধান কমে এসেছে।

পরাজিত কেজরিওয়াল, অনিশ্চিত আপের ভবিষ্যৎ বিজেপির বিশাল জয়ের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজের আসনেও পরাজিত হয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ ভার্মার কাছে তিনি পরাজিত হন। ফল ঘোষণার পর কেজরিওয়াল এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় পরাজয় স্বীকার করে বলেন, ‘জনগণের রায় চূড়ান্ত, আমরা সেটি মেনে নিচ্ছি। বিজেপিকে অভিনন্দন জানাই এবং আশা করি তারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কেজরিওয়ালের পরাজয়ের পেছনে তার দলের দুর্নীতি, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারার কারণ রয়েছে। বিশেষ করে দিল্লির মদের আবগারি নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগ এবং ছয় মাস জেলে থাকার বিষয়টি তার জনপ্রিয়তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

বিজেপির এই জয়ের মাধ্যমে দিল্লির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button