মার্কিন আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে চুক্তি: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে নতুন দিগন্ত
মার্কিন আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে চুক্তি: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশ সরকার ও মার্কিন প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজি’র মধ্যে সই হওয়া চুক্তি দেশটির জ্বালানি খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে। চুক্তিটি গতকাল (২৪ জানুয়ারি) সই হয়, যা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি সহযোগিতা আরও দৃঢ় করবে।
চুক্তির গুরুত্ব
আর্জেন্ট এলএনজি লুইজিয়ানা ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান, যা প্রতি বছর ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি উৎপাদন প্রকল্প পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা এই গ্যাস আমদানি করবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (BIDA) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, এই চুক্তি কেবল শিল্পখাতে নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও আরও শক্তিশালী করবে।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে এলএনজি রপ্তানির প্রসার ঘটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছিল। এই চুক্তি সেই নীতির সফল বাস্তবায়নের একটি উদাহরণ। বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন উৎসের ওপর নির্ভর করছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় এলএনজির দাম বেড়ে গেলে বাংলাদেশ সস্তা কয়লার দিকে ঝুঁকেছিল।
আর্থিক ও কৌশলগত গুরুত্ব
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি এবং শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহের বিশাল চাহিদা রয়েছে। এই চুক্তি সেই চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এই উদ্যোগ একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। লুইজিয়ানার সিনেটর বিল ক্যাসিডি এই চুক্তিকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এলএনজির এই দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ চুক্তি বাংলাদেশকে শিল্পখাতে অগ্রগামী করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় রচনা করবে।