জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামি খালাস
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামি খালাস
সর্বোচ্চ আদালত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার সঙ্গে মামলার আরও পাঁচ আসামিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়েছেন। উচ্চ আদালত এবং বিচারিক আদালতের আগের রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায়ে বলা হয়েছে:
“সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সব আপিল মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত ও বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করা হলো। ফলে আপিলকারীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে তারা সম্পূর্ণভাবে খালাস পেয়েছেন।”
রায়টি প্রমাণ করে যে, এই মামলায় আইনের অপব্যবহার ঘটেছে এবং এটি একটি বিদ্বেষপূর্ণ মামলা।
২০০৮ সালে অনাথ শিশুদের জন্য অনুদান হিসেবে আসা ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রমনা থানায় মামলা করে।
- ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি: ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
- হাইকোর্টের রায় (৩০ অক্টোবর ২০১৮): আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রেখে খালেদা জিয়ার সাজা ১০ বছর বাড়ানো হয়।
সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত
- প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত আপিল বেঞ্চ উল্লেখ করেন যে, মামলার অনেক অংশ অনুমাননির্ভর এবং যথাযথ প্রমাণ ছাড়াই সাজা দেওয়া হয়েছিল।
- রায়টি শুধু খালেদা জিয়ার জন্য নয়, আপিল না করা অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাকে অযোগ্য করার জন্য সাজানো হয়েছিল।
বর্তমান পরিস্থিতি
খালেদা জিয়া বর্তমানে যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন। এ মামলার রায়ের ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো দণ্ডাদেশ আর থাকছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।