সারাদেশ

শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং তা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নেমেছে।

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং তা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নেমেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বেপজাসহ ৯টি প্রকল্পে দুর্নীতির মাধ্যমে এই অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ
প্রকাশিত গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী রুশ সংস্থা রোসাট্রম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। এতে মধ্যস্থতা করেন সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিক।

বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিক খরচ ধরা হয় এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার, যা প্রকৃত চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। এই বাড়তি বাজেট থেকেই অর্থ লোপাট করা হয়। শেখ রেহানা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এর ৩০ শতাংশ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অন্য প্রকল্প এবং পাচারের অভিযোগ
২০০৯ সালে টিউলিপ সিদ্দিক, তাঁর মা শেখ রেহানা এবং চাচা তারিক আহমেদ সিদ্দিক ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি চালু করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এই কোম্পানির মাধ্যমে এবং যুক্তরাষ্ট্রে জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে আরেকটি কোম্পানির সহায়তায় তাঁরা বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করেন।

এছাড়াও, ডেসটিনি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত থেকে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

হাইকোর্টে রিট এবং রুল জারি
এই দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ চেয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়। রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এতে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

রাশিয়ার রোসাট্রম এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, দুদক এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানে নেমেছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুসন্ধান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button