আন্তজার্তিক অঙ্গন

ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠনের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি

ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠনের আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য একটি ‘ইউরোপীয় সেনাবাহিনী’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইউরোপকে আগের মতো সহায়তা নাও করতে পারে।

মিউনিখ সম্মেলনে জেলেনস্কির বক্তব্য

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় জেলেনস্কি বলেন,

“আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, সময় এসেছে ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠনের।”

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন কখনোই আমাদের পেছনে কোনো চুক্তি হলে তা মেনে নেবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত

জেলেনস্কি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে আগের মতো সমর্থন নাও দিতে পারে। তিনি বলেন,

“আমরা এ কথা উড়িয়ে দিতে পারি না যে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো ইস্যুতে ‘না’ বলে দিতে পারে।”

ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা ও ইউরোপের শঙ্কা

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এতে ইউরোপকে উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে জেলেনস্কি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন,

“যখন ইউরোপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তখন ইউরোপেরও আলোচনার টেবিলে থাকা উচিত।”

এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স বলেন,

“ইউরোপকে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে হবে।”

ইউরোপীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে ফ্রান্স-জার্মানির সমর্থন

জেলেনস্কির ইউরোপীয় সেনাবাহিনীর ধারণাকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন জানিয়ে আসছেন। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ইউরোপকে নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।

রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া

রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন,

“কিয়েভ অবশ্যই কোনো না কোনোভাবে আলোচনায় অংশ নেবে।”

তবে জেলেনস্কি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,

“পরবর্তী ধাপে পুতিন চায়, ৯ মে বিজয় দিবসে ট্রাম্প রেড স্কয়ারে দাঁড়ান, যেন তিনি একটি প্রদর্শনীর অংশ হয়ে যান।”

চাপিয়ে দেওয়া শান্তি মেনে নেবে না ইউরোপ

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেন,

“আমরা কখনো চাপিয়ে দেওয়া শান্তি মেনে নেব না।”

এদিকে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক সতর্ক করে বলেন,

“যদি ইউরোপের নিজস্ব পরিকল্পনা না থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্য শক্তিগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।”

🔗 সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button