আন্তজার্তিক অঙ্গন
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি: শান্তির পথে নতুন পদক্ষেপ
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি: শান্তির পথে নতুন পদক্ষেপ
দীর্ঘ সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজা যুদ্ধ বন্ধে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চুক্তি সম্পন্নের মধ্যস্থতা
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী এই চুক্তি সম্পন্নে মধ্যস্থতা করেন।
- তিনি হামাস এবং ইসরায়েলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে উভয়পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করেন।
- বিবিসি, রয়টার্স, ও আল জাজিরা এই চুক্তির খবর নিশ্চিত করেছে।
যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি
১. ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি:
- গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে।
- ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
২. গাজায় মানবিক সহায়তা:
- রাফা ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক তাবু, খাবার, এবং চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গাজায় প্রবেশ করবে।
- ৫০টি জ্বালানিবাহী গাড়িও প্রবেশ করবে।
৩. বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রত্যাবর্তন:
- গাজা শহর এবং দক্ষিণ গাজার লাখো মানুষ তাদের বাড়ি ফিরে যাবে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই চুক্তি আন্তর্জাতিক মহলের প্রশংসা পেয়েছে।
- কাতারের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই চুক্তিকে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
এই যুদ্ধবিরতি কি দীর্ঘস্থায়ী হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে চুক্তিটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করতে পারে।