আইএমএফের চাপে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি: ওষুধ, ইন্টারনেটসহ ৬৭ পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা
নিউজ:
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইন্টারনেটসহ ৬৭ পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এই পদক্ষেপে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর অতিরিক্ত চাপ আসতে পারে, কারণ তাদের পরিচালন খরচ বাড়বে।
মূল পরিবর্তনগুলো:
- টার্নওভারের সীমা হ্রাস:
- বছরে ৩০ লাখ টাকার বেশি টার্নওভার থাকলে ভ্যাটের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আগে এই সীমা ছিল ৫০ লাখ টাকা।
- ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এবার ভ্যাটের আওতায় আসবেন।
- ভ্যাট নিবন্ধনের সীমা হ্রাস:
- ভ্যাট নিবন্ধনের সীমা তিন কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে।
- ওষুধের ভ্যাট বৃদ্ধি:
- জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ভ্যাট ২.৪% থেকে বাড়িয়ে ৩% করা হয়েছে। এতে ওষুধের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
- ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবায় শুল্ক বৃদ্ধি:
- ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ভ্যাট ৫% থেকে বাড়িয়ে ১০% করা হয়েছে।
- মোবাইল ফোন সেবা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
- অন্যান্য পণ্য ও সেবায় প্রভাব:
- এলপি গ্যাস, মিষ্টি, বিস্কুট, আচার, টমেটো সস, ফলের রস, সিগারেট, সাবান, ডিটারজেন্ট এবং তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকসের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
- সিগারেটের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে বাজারে এরই মধ্যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই পরিবর্তনের ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা পরিচালনায় খরচ বাড়বে। কারণ, অনেক প্রতিষ্ঠানকেই এখন ভ্যাট নিবন্ধন ও টার্নওভার করের নিয়ম মেনে চলতে হবে।
সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব:
- ওষুধের দাম বৃদ্ধি: জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় বাড়বে।
- ইন্টারনেট সেবা খরচ বৃদ্ধি: মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে তরুণ ও প্রযুক্তি নির্ভর জনগোষ্ঠীর খরচ বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি একদিকে রাজস্ব বাড়াতে সহায়তা করবে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
