কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, সেবার মান উন্নয়নের তাগিদ
কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, সেবার মান উন্নয়নের তাগিদ
দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় যেন কমছেই না। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকতসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ছিল প্রচুর মানুষের উপস্থিতি। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন ছয়টি জাহাজে অন্তত দুই হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করছে। এছাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কেও পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে।
তবে, টানা চার দিনের ছুটির মতো ভিড় না থাকলেও, থার্টিফার্স্ট নাইট পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় থাকবে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা। সৈকতের হিমছড়ি থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত পর্যটকদের উপস্থিতিতে জমজমাট ছিল।
পর্যটকদের অভিজ্ঞতা
শীতের তীব্রতা কম থাকায় এবং সাগরের স্বচ্ছ নীল পানি পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করেছে। নরসিংদী থেকে আসা হৃদয় হাসান বলেন, “কক্সবাজারের মতো জায়গা আর নেই। বিনোদন এবং অবসর কাটানোর জন্য এটি সেরা স্থান।” অন্যদিকে, চাঁদপুর থেকে আসা রায়হান ও ইমরান জানান, আবাসন ও খাবারের দাম সহনীয় হলে সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকত।
পর্যটন খাতের সীমাবদ্ধতা
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, “কক্সবাজার বিশ্ববাসীর কাছে নানার বাড়ি। তবে পর্যটকদের চাহিদা মাফিক সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।” তিনি পর্যটন ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, “সরকারি সহযোগিতা এবং ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে সেবা উন্নয়ন করা দরকার।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, কক্সবাজার সৈকত, ইনানী ও সেন্টমার্টিনে ১৪০ জন সদস্যের ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। মাঝে মাঝে চুরি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের অপরাধ কার্যক্রম নেই।
পর্যটন খাতের ভবিষ্যৎ
গত দুই সপ্তাহে ১২-১৩ লাখের বেশি পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করেছেন। ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত এবং জানুয়ারিতে পর্যটকদের উপস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, পর্যটন খাতে উন্নত সেবা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে কক্সবাজারে পর্যটন শিল্পের প্রসার আরও ত্বরান্বিত হবে।