সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে তার বক্তব্য
সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে তার বক্তব্য
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর তদন্তে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ঘিরে শুরু হওয়া আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে এক ফেসবুক পোস্টে এসব অভিযোগকে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছেন জয়।
ফেসবুক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্য
সোমবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জয় জানান, তার এবং তার স্ত্রী ক্রিস্টিনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তিনি বলেন,
“ক্রিস্টিন ও আমি আর বিবাহিত নই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি এবং আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।”
এছাড়াও, জয় দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে করা এফবিআই রিপোর্টটি ভুল এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ভরা। তিনি উল্লেখ করেন,
“তাদের অসাবধানতা এবং বোকামির কারণে রিপোর্টটির মিথ্যা তথ্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।”
রিপোর্টে থাকা ভুল তথ্যের উদাহরণ
জয় তার পোস্টে এফবিআই রিপোর্টের কিছু গুরুতর ত্রুটি তুলে ধরেছেন, যেমন:
- রিপোর্টে উল্লেখিত এফবিআই এজেন্ট বহু বছর আগেই এফবিআই থেকে অবসর নিয়েছেন।
- জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের যে আইনজীবীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন।
- তার নামে থাকা গাড়িগুলোর একটি ছাড়া বাকি সবই ২০ বছরের বেশি সময় আগে কেনা এবং বিক্রি করা হয়েছে।
অর্থ ও সম্পদ নিয়ে বক্তব্য
জয় আরও উল্লেখ করেন যে, তিনি এবং তার পরিবার কখনো কোনো সরকারি প্রকল্পে জড়িত ছিলেন না বা সেখান থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা নেননি।
“আমাদের কোনো অফশোর অ্যাকাউন্ট নেই। যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে, তা আমরা কেউ কখনো দেখিনি,” বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অভিযোগ
জয় অভিযোগ করেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করছে।
সজীব ওয়াজেদ জয় তার বক্তব্যের মাধ্যমে রিপোর্টের তথ্যকে মিথ্যা দাবি করে, নিজেকে এবং তার পরিবারকে এ অভিযোগ থেকে মুক্ত বলে তুলে ধরেছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা চলছে।