একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায়: আপিলের সম্ভাবনা নিয়ে মতামত
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায়: আপিলের সম্ভাবনা নিয়ে মতামত
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের রায়: আপিলের সম্ভাবনা নিয়ে মতামত
হাইকোর্ট একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্যান্য আসামিদের খালাস দিয়েছেন। এ রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিলের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, মামলার অভিযোগ গঠনে আইনগত ত্রুটি ছিল, যা বিচারিক আদালতের রায়কে অবৈধ করে তোলে।
১. মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি:
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। জীবদ্দশায় তিনি তা প্রত্যাহার করেন এবং দাবি করেন, এটি জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছিল।
২. প্রমাণের অভাব:
মামলায় কোনো চাক্ষুষ সাক্ষী নেই এবং ২৫ জন শ্রুতসাক্ষীর জবানবন্দির মধ্যে সামঞ্জস্য পাওয়া যায়নি।
৩. বিচারিক আদালতের কার্যক্রম:
রায়ে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের বিচারকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে।
এ রায় নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, “আমি মনে করি আপিল করা উচিত। তবে রায়ের বিস্তারিত দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, এটি তারেক রহমানের ন্যায়বিচারের প্রমাণ। তিনি বলেন, “এই রায় প্রমাণ করে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছিল।”
রাষ্ট্রপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাবে। তবে আপিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রায়ের পূর্ণ বিবরণ পর্যালোচনা করা হবে।