পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় ১১ জন নিহত

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় ১১ জন নিহত
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এর একদিন আগেই এই তালেবান সদস্যরা সাতজন সেনাকে হত্যা করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ মার্চ) খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশের আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় তিনটি ড্রোন হামলা চালানো হয়। পুলিশ সূত্র জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল ‘পাকিস্তানি তালেবানের আস্তানা’। তবে হামলায় নিহতদের মধ্যে দুজন নারী ও তিন শিশু ছিল বলে জানা গেছে। নিহতদের মরদেহ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে এবং নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, হামলার সময় ওই এলাকায় তালেবান সদস্যরা উপস্থিত ছিল কি না।
তালেবানের ‘বসন্ত অভিযান’ ও সহিংসতা বৃদ্ধি
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ‘বসন্ত অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে তারা প্রায় ১০০টির বেশি হামলার দায় স্বীকার করেছে।
শুক্রবার রাতে খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশে এক অভিযানে তালেবান সদস্যরা সাতজন সেনাকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় সেনাবাহিনী পাল্টা অভিযানে সশস্ত্র হেলিকপ্টার মোতায়েন করে, যেখানে ৮ জন তালেবান নিহত এবং ৬ জন সেনা সদস্য আহত হন।
পাকিস্তানে নিরাপত্তা সংকট
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ জানিয়েছে, ২০২৩ সাল পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছর ছিল। এ বছর ১,৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
পাকিস্তান সরকার আফগান তালেবানকে দোষারোপ করে বলছে, তারা পাকিস্তানবিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে তালেবান সরকার