সারাদেশ

সীমান্তে উত্তেজনা: বিএসএফের বেড়া নির্মাণ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব

সীমান্তে উত্তেজনা: বিএসএফের বেড়া নির্মাণ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক সীমান্তে অননুমোদিতভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রবিবার (১২ জানুয়ারি) এ প্রসঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই উদ্বেগ জানানো হয়।

পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দীন ভারতের রাষ্ট্রদূতকে স্পষ্টভাবে জানান যে, সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং অপারেশনাল পদক্ষেপগুলো দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষুণ্ন করেছে। তিনি বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ সীমান্তে উত্তেজনা এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে, যা দুই প্রতিবেশী দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার চেতনাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

পররাষ্ট্রসচিব আশা প্রকাশ করেন যে, বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের আসন্ন আলোচনায় এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে, সুনামগঞ্জে বিএসএফ কর্তৃক সম্প্রতি এক বাংলাদেশি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর হতাশা প্রকাশ করে। পররাষ্ট্রসচিব সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতের প্রতিশ্রুতির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “বারবার অপ্রাণঘাতী কৌশল ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

তিনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে সীমান্তে পুনরাবৃত্তি হওয়া হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে এবং এসব ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানান। একইসঙ্গে, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এমন কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান, যা সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে।

পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, সীমান্তের এই ধরনের সমস্যা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও স্থায়িত্ব বজায় রাখার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ ধরনের ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্তে স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button