সারাদেশ

তারেক রহমান: “স্বৈরাচার পালালেও গণতন্ত্র এখনো শঙ্কামুক্ত নয়”

তারেক রহমান: “স্বৈরাচার পালালেও গণতন্ত্র এখনো শঙ্কামুক্ত নয়”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার শাসক দেশ ছেড়ে পালালেও গণতন্ত্র এখনো পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ সংসদ এবং সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে অনুষ্ঠিত শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান

তারেক রহমান বলেন, “আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে, দল-মত, ধর্ম-দর্শন যার যার, কিন্তু রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। তাই একটি নিরাপদ গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে বিএনপি সবার সহযোগিতা চায়।”

তিনি আরও বলেন, “গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে কংসের মতো এক নৃশংস স্বৈরাচার জনগণের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গণতন্ত্রকামী জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালায় সেই কংসরূপী স্বৈরাচার।”

নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার তাগিদ

তারেক রহমান বলেন, “কে সংখ্যালঘু, কে সংখ্যাগরিষ্ঠ—এই পরিচয় রাষ্ট্র ও সমাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন না থাকলে কেউই নিরাপদ নয়।”

তিনি আরও বলেন, “পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে অনেক মানুষ মৃত্যুভয়ে দিন কাটিয়েছেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও তারা সম্মান ও নিরাপত্তা পাননি। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র পথ, যেখানে সবাই সমান নিরাপত্তা ও অধিকার পাবে।”

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী, সঞ্চালনায় ছিলেন বিপ্লব পার্থ। এছাড়াও বক্তব্য দেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব আর কে দাশ রূপু, দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী, স্বামী যোগানন্দ গিরি মহারাজ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সহকারী মহাসচিব বিশ্বজিৎ দত্ত বাবু, সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিকসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button