জামায়াত আমিরের বার্তা: “এমন রাজনীতি কাম্য নয় যেখানে পালাতে হয়”
ডা. শফিকুর রহমান সিলেটে সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।
মূল সংবাদ:
ক্ষমতার রাজনীতি সম্পর্কে সতর্কবার্তা
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সিলেটে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, ‘‘এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়, যেখানে ক্ষমতা হারানোর পর পালিয়ে যেতে হয় বা ভয়ংকর পরিণতির মুখোমুখি হতে হয়।’’ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিক বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কোনো ঘটনা হলে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা রাজনীতি করি বলে এটা অপরাধ নয়। তবে রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস করলে তার দায় রাজনৈতিকভাবে নিতে হবে।’’
ডা. শফিক বলেন, ‘‘আমরা মেজরিটি-মাইনোরিটির ধারণা মানি না। এই দেশের প্রত্যেক নাগরিক সমান মর্যাদার অধিকারী। ছোট্ট একটি দেশে এত ভাগাভাগি অশান্তির কারণ হতে পারে। আমরা সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ, মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’’
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের আমলে তার দল সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন। আমাদের দলকে নির্বাচন কমিশন থেকে অনিবন্ধিত করা হয়েছে, এমনকি দলীয় অফিসগুলোও দীর্ঘ ১৩ বছর সিলগালা করে রাখা হয়েছিল।’’
চাঁদাবাজির বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা এর সঠিক বিচার করব।’’
তিনি জানান, দুর্গাপূজার সময় তাদের দলের স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন মন্দির পাহারা দিয়েছে। ‘‘আমরা সব ধর্মের লোকজনের পাশে আছি এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই,’’ বলেন জামায়াত আমির।