সুন্দর সমাজ গঠনে ন্যায় ও মূল্যবোধ চর্চার আহ্বান জামায়াত আমিরের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “একটি সুন্দর, সুখী ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে ন্যায়-ইনসাফ, সুকুমারবৃত্তি ও মূল্যবোধের চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, “যে সমাজে এ ধরনের চর্চা হয়, সেই সমাজই দীর্ঘমেয়াদে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।”
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াতের উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের দেশের রাজনীতিতে বলা হয়, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্তু দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে এ নীতি প্রতিফলিত হয় না। জামায়াতে ইসলামী এ স্লোগানকেই বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াত একটি গণমুখী এবং কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল হিসেবে সব সময় গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। আমরা ভালো কাজের সব কৃতিত্ব নিতে চাই না, বরং আমরা অন্যদের পথ দেখানোর চেষ্টা করছি।”
শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, “রাজধানীতে এখনো শীত পুরোপুরি জেঁকে বসেনি। তবে শীত আসার আগেই আমরা সম্ভাব্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। দেশের সব রাজনৈতিক দলকেই এ ধরনের কল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে।”
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক পঞ্চগড় সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার আনোয়ার হোসেন নামের এক বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফ নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনার পর শনিবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বরং এসব হত্যাকাণ্ড দিন দিন বাড়ছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ।”
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “আমরা সীমান্তে নিরপরাধ বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনা বন্ধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”
এ ধরনের ঘটনা শুধু দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় না, বরং সীমান্ত এলাকার মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।