কক্সবাজার বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে সংঘর্ষ: একজন নিহত, আহত ১০

কক্সবাজার বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে সংঘর্ষ: একজন নিহত, আহত ১০
কক্সবাজার বিমানবন্দরসংলগ্ন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে সোমবার দুপুরে সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিহাব কবির নাহিদ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হন এবং অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত
স্থানীয়দের দাবি, বিমানবাহিনীর একটি তল্লাশি চৌকিতে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র জাহেদ হোসেনকে আটক করার খবরে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিমানবাহিনী পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বক্তব্য
নিহত শিহাব কবির নাহিদের মা আমেনা খাতুন জানান, তাঁর ছেলে ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই একটি গুলি এসে মাথায় লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকাবাসী সন্ধ্যায় কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছে এবং সমিতিপাড়া ও কুতুবদিয়াপাড়ার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আইএসপিআরের বক্তব্য
অন্যদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সমিতিপাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমানবাহিনীর ঘাঁটির ওপর অতর্কিত হামলা চালালে বিমানবাহিনী নিরাপত্তা রক্ষার্থে ব্যবস্থা নেয়। সংঘর্ষে বিমানবাহিনীর চার সদস্য আহত হয়েছেন। আইএসপিআর দাবি করেছে, কেবল ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছিল, যা প্রাণঘাতী নয়।
বর্তমান পরিস্থিতি
ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।