আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় আবারও পিছিয়েছে, মিলতে পারে জুনে

আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় আবারও পিছিয়েছে, মিলতে পারে জুনে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের সিদ্ধান্ত আবারও পিছিয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে আইএমএফ নির্বাহী পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।
শর্ত পূরণ নিয়ে আইএমএফের অসন্তুষ্টি
আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় জোরদার করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ, বিনিময় হারকে পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা এবং সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতের নীতিমালা বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। তবে বিনিময় হার ও রাজস্ব আহরণের শর্ত পূরণে অগ্রগতি আইএমএফের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি, যার ফলে কিস্তি ছাড়ে বিলম্ব হচ্ছে।
কর আদায় বাড়াতে নতুন উদ্যোগ
অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, করের আওতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিকিৎসক ও আইনজীবীদের ফি প্রদানের বিপরীতে রশিদ দেওয়ার নিয়ম চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, ব্যবসায়ীদের নগদ লেনদেন কমিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আনতে উৎসাহিত করা হবে, যাতে কর আদায়ের কার্যকারিতা বাড়ানো যায়।
নতুন ঋণের সম্ভাবনা
আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে মোট ঋণের পরিমাণ ৫.৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
আগামী জুনে আইএমএফ নির্বাহী পর্ষদে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।