টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগে ব্রিটেনে চাপ বৃদ্ধি
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগে ব্রিটেনে চাপ বৃদ্ধি
গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁর বোনঝি এবং ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। অনৈতিক উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিকের মন্ত্রিত্ব হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে টিউলিপের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দুর্নীতির অভিযোগ ও ব্রিটেনের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করছেন প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার নৈতিক মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস। বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ সরাসরি টিউলিপকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ক্যাবিনেট মন্ত্রী পিটার কাইল বলেন, “স্বাধীন তদন্তের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার ব্যবস্থা নেবেন।”
শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত
বাংলাদেশে শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে জানা গেছে, গণভবনে টিউলিপ সিদ্দিকের প্রচারপত্র পাওয়া গেছে। এই প্রচারপত্রে শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের মাধ্যমে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধের আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের সম্পত্তি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে টিউলিপ বেআইনি সম্পদ অর্জনের সুবিধাভোগী, তবে সেই সম্পত্তি বাংলাদেশ সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।”
গণভবনের ঘটনা ও লুটপাট
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর গণভবনে হামলা ও লুটপাট চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। সেখানে পাওয়া যায় টিউলিপের ধন্যবাদপত্র ও বিভিন্ন নথি। এর মধ্যে একটি ছিল তাঁর এমপি নির্বাচনের পর লেবার পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে লেখা ধন্যবাদপত্র।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তার পারিপার্শ্বিক প্রতিক্রিয়া শুধু ব্রিটেনেই নয়, বাংলাদেশেও আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত টিউলিপের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।