আগরতলা অভিমুখে বিএনপির লং মার্চ: প্রস্তুতি ও বার্তা
বুধবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি’র যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ডাকা লং মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্যরেখার কাছে গিয়ে থামবে। এরপর স্থলবন্দর এলাকায় একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। লং মার্চে প্রভুত্ব নয়, বন্ধুত্বের বার্তা তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের আগ্রাসী মনোভাব এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার প্রতিবাদ জানানো হবে।
প্রধান বিষয়সমূহ:
- গাড়ির বহর ও লোকসমাগম:
আয়োজকরা জানান, প্রায় দুই হাজার গাড়ি বহরসহ ৩০-৪০ হাজার মানুষের সমাগম আশা করা হচ্ছে। - সাম্প্রতিক ইস্যু:
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। - বার্তা:
- ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করা।
- স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন অবস্থানের দৃঢ় ঘোষণা।
- প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
- আখাউড়া স্থলবন্দরে যানবাহনের জন্য পার্কিং স্পেস নির্ধারণ।
- সমাবেশ স্থলের শৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা।
যুবদল কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, লং মার্চ সফল করতে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। “আমাদের বার্তা হবে বন্ধুত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান জানান, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
আয়োজকরা মনে করছেন, এই লং মার্চ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি জনগণের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরবে।