আন্তজার্তিক অঙ্গন

হিজবুল্লাহর ২,০০০ যোদ্ধা সিরিয়ায় মোতায়েন, আসাদ সরকারকে রক্ষার চেষ্টা

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের সমর্থনে লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সিরিয়ায় ২,০০০ যোদ্ধা পাঠিয়েছে। হিজবুল্লাহ-ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। বিদ্রোহী বাহিনীর অগ্রগতিতে সংকটে পড়া আসাদ সরকারের সহায়তায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা লেবাননের সীমান্তবর্তী কুসাইর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তাদের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে কৌশলগত স্থানগুলো রক্ষা করা। বিদ্রোহী বাহিনী আলেপ্পো ও হামা শহর দখল করার পর এই মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা এখনো সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি।

বিদ্রোহী জোট ২৭ নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু করে। ইতিমধ্যে তারা আলেপ্পো ও হামার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দখল করেছে। বিদ্রোহী বাহিনী রাজধানী দামেস্কের দিকেও অগ্রসর হচ্ছে বলে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে। বিদ্রোহীদের এমন অগ্রগতিতে আসাদ সরকার সংকটে পড়েছে।

২০১৩ সাল থেকে সিরিয়ার যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া হিজবুল্লাহ বিদ্রোহীদের কাছ থেকে কুসাইর শহর পুনর্দখল করে এবং সেখানে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে। যুদ্ধ কিছুটা স্থবির হওয়ার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিজবুল্লাহ তাদের বেশিরভাগ যোদ্ধা প্রত্যাহার করেছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে যোদ্ধা মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে।

আসাদ সরকারকে সমর্থন দিতে ইরান ও রাশিয়াও সিরিয়ার যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছে। সম্প্রতি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর একজন জেনারেল আলেপ্পোতে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। বিদ্রোহী বাহিনীর সাম্প্রতিক অগ্রগতি মিত্রদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

সিরিয়ার চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে হিজবুল্লাহ, রাশিয়া এবং ইরানের মতো মিত্রদের কার্যক্রম সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার বদলে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। বিদ্রোহী বাহিনীর অগ্রযাত্রা আসাদ সরকার ও তাদের মিত্রদের অবস্থান দুর্বল করে তুলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button