দৈনিক প্রথম আলো নিষিদ্ধের দাবি ওলামা-মাশায়েখদের, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
দেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেম-ওলামারা দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকাকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশের ছয় শতাধিক ওলামা-মাশায়েখ এ দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার এ দাবি বাস্তবায়ন না করলে শিগগিরই তারা আন্দোলনে নামবেন।
প্রথম আলোকে নিয়ে অভিযোগ
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, প্রথম আলো পত্রিকা বাংলাদেশকে মৌলবাদী ও ব্যর্থ রাষ্ট্র প্রমাণের অপচেষ্টা করছে। পত্রিকাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মুসলিম জনগোষ্ঠী ও ধর্মীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আলেম-ওলামাদের কর্মকাণ্ড ও অবদান উপেক্ষা করা এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে খবর চেপে রাখার অভিযোগও করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রথম আলো বিদেশি এনজিওগুলোর ইসলাম ও দেশবিরোধী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। তারা অশ্লীলতার প্রসার, পারিবারিক কাঠামো ভাঙা এবং সমাজে পুরুষবিদ্বেষ উসকে দেওয়ার মাধ্যমে মুসলিম সমাজকে ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে। মুসলিম বাংলার প্রচলিত ভাষার বিপরীতে কলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দুয়ানি ভাষা প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।”
সরকারের প্রতি আহ্বান
বিবৃতিতে ওলামারা উল্লেখ করেন, “প্রথম আলোকে নিষিদ্ধ করার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি এ দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে দেশের জনগণের ঈমান-ইসলাম ও দেশ রক্ষায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
প্রধান আলেমদের বিবৃতি
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী বিশিষ্ট আলেমদের মধ্যে রয়েছেন আল্লামা সিদ্দিকুর রহমান ইসলামাবাদী, মুফতী রফিকুন্নবী কাসেমী, মুফতী আবদুল জলিল ফরাজী, মাওলানা আজিজুর রহমান মাদানী, মুফতী ওমর ফারুক চৌধুরী, এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ওলামা।
সম্প্রতি আলেম-ওলামাদের বিভিন্ন কর্মসূচি ও বক্তব্যের সংবাদ পরিবেশন নিয়ে কিছু মহলের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, প্রথম আলো পত্রিকা ধারাবাহিকভাবে ইসলাম, মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে এবং আলেমদের এ দাবির প্রেক্ষিতে কী প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা এখন সময়ের ব্যাপার।