সারাদেশ

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠিত

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠিত

পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠন করেছে সরকার। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

কমিশনের নেতৃত্ব ও সদস্যবৃন্দ

কমিশনের সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান
কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন:

  • মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান (বীর প্রতীক)
  • অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ
  • অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি ড. এম. আকবর আলী
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন

কমিশনের কার্যপরিধি

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত বিদ্রোহের বর্বর হত্যাযজ্ঞের পেছনের ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার স্বরূপ উদ্‌ঘাটনের জন্য এ কমিশন গঠিত হয়েছে।

কমিশনের কাজ হবে:

  1. ঘটনার সাথে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা।
  2. ঘটনার সহযোগী, আলামত ধ্বংসকারী, ও ঘটনার প্রকৃত সংঘটনকারীদের শনাক্ত করা।
  3. রুজুকৃত মামলার বাইরে থাকা অপরাধী ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো চিহ্নিত করা।

কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে
এ কমিশন সন্দেহভাজন যে কাউকে তলব এবং জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষমতা রাখে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের ভিত্তিতে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই নির্দেশনার আলোকে কমিশন গঠনের মাধ্যমে ঘটনার পেছনের ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় সংঘটিত এই হত্যাযজ্ঞে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম হৃদয়বিদারক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button