নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ: সময়সীমা নিয়ে মতবিরোধ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর থেকেই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন, আগামী বছরের শেষে বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে ১৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জামায়াতের অবস্থান: দ্রুত ও যৌক্তিক সময়ের দাবি
নির্বাচনের সময় নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা পছন্দ নয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জানান, সরকার যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দ্রুত সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, “দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্বাচন হলে ক্ষমতা ধরে রাখার লোভ তৈরি হতে পারে, যা অতীত অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত। সংস্কার দ্রুত শেষ করে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”
প্রশাসনিক সংস্কারের দাবি
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন, “গত ১৫-১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দলীয়করণ করে প্রশাসন সাজিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে এই দলীয়করণ দূর করা জরুরি। দলীয় কর্মকর্তাদের সরিয়ে প্রশাসনিক সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন হওয়া উচিত।”
জামায়াত শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর দ্রুত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দলটির মতে, অতিরিক্ত সময় নিয়ে সংস্কার বা নির্বাচন বিলম্ব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।