আন্তজার্তিক অঙ্গন

তুলসী গ্যাবার্ড: ডেমোক্র্যাট থেকে রিপাবলিকান হয়ে ট্রাম্পের আস্থাভাজন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ তুলসী গ্যাবার্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ তুলসী গ্যাবার্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একসময় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও, ২০২২ সালে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দিয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ট্রাম্পের দলে যোগ দিয়ে তুলসী দ্রুতই তাঁর আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ট্রাম্প সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তুলসীর প্রশংসা করে বলেছেন, দায়িত্ব পেলে তিনি সবার গর্বের কারণ হবেন। এখন সিনেটের অনুমোদন পেলেই তুলসী গ্যাবার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।

তুলসীর আগের রাজনৈতিক পথচলা বেশ বৈচিত্র্যময়। তিনি দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় মার্কিন সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং ইরাক ও কুয়েতের মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে তুলসী বলেছিলেন, তিনি মনে করেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বর্তমানে ‘যুদ্ধবাজদের’ আধিপত্যে চলছে।

তুলসীর ব্যক্তিগত জীবন ও পরিচিতি: তুলসী গ্যাবার্ডের মা হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন এবং সব সন্তানের নাম হিন্দু মতে রেখেছিলেন। তুলসী নিজেও নিজেকে একজন হিন্দু হিসেবে পরিচয় দেন। মার্কিন কংগ্রেসে তিনিই প্রথম হিন্দু সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং শপথ গ্রহণের সময় ভগবত গীতা হাতে নিয়েছিলেন। তুলসী বিয়ে করেছেন আব্রাহাম উইলিয়ামস নামের একজন সিনেমাটোগ্রাফারকে। তাঁর বাবা মাইক গ্যাবার্ডও একসময় রিপাবলিকান ছিলেন, পরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগ দেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ট্রাম্পের প্রতি আস্থা: রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তুলসী ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিতর্কের প্রস্তুতিতেও ট্রাম্পকে সহায়তা করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনে কাজ করতে পেরে গর্বিত তুলসী বলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা পরমাণু যুদ্ধের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ঠেকাতে তাঁর ভূমিকা রাখতে চান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button