ক্রিয়া অঙ্গন

হামজা চৌধুরী এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের ফুটবলার

সবকিছু চূড়ান্তই ছিল। বাকি ছিল শুধু ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন। গত বৃহস্পতিবার সেই অনুমোদন পাওয়ার পর হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের হয়ে খেলার আর কোনো বাধা রইল না। এখন আনুষ্ঠানিকভাবেই তিনি বাংলাদেশের ফুটবলার।

বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে উচ্ছ্বসিত হামজা

এই সুসংবাদ পাওয়ার পর লাল-সবুজের জার্সিতে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন লিস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘ভার্সেস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামজা বলেছেন, “আমি খুবই গর্বিত। ছোটবেলায় বাংলাদেশ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আশা করি, আমার সন্তানদের মধ্যেও এসব গুণ ছড়িয়ে দিতে পারব। তাদের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ এবং সবাইকে সমানভাবে দেখার মানসিকতা তৈরি হবে।”

হামজা আরও বলেন, “ইংল্যান্ড অবশ্যই আমার বাড়ি, কিন্তু বাংলাদেশও ঠিক তেমনই। নিজের শেকড়ে ফিরতে পারা এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটাই আমার কাছে সবকিছু। এটা আমাকে প্রচুর আনন্দ এবং গর্ববোধ অনুভব করাচ্ছে।”

প্রিমিয়ার লিগ থেকে বাংলাদেশের ফুটবলে

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা প্রথম ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন হামজা। এমন দায়িত্বের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “গুটি কয়েক মানুষের নয়, পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি—এটা ভাবা আমার জন্য গর্বের। তবে দায়িত্ব নিয়ে তেমন ভাবি না। সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছি এবং এই যাত্রা উপভোগ করছি।”

হামজা আরও যোগ করেন, “ফুটবলকে ভালোবাসা এবং উপভোগ করা ছাড়া সত্যি অন্য কিছু করিনি। তবে বড় হতে হতে বুঝতে শুরু করেছি, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে খেলাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”

বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হামজার পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে তিনি জানান। “আমার পরিবার বারবার আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে। এটি এমন কিছু নয়, যা আগে ভাবিনি। সবসময়ই আমার মাথায় ছিল। ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশে থাকা পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পরই আমি আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিই। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সত্যিই গর্বিত এবং ভবিষ্যতের জন্য উদ্দীপ্ত।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button