সারাদেশ

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ: দ্রুত সময়ের দাবি বিএনপির

জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হওয়া উচিত, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা নিয়ে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে চাইলে চার থেকে ছয় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। তবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করে আসছে দলটি।

মহান বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন সম্ভব হতে পারে। তবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার যোগ করলে ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এটিই নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ। তবে বিএনপি এই রোডম্যাপকে মানতে রাজি নয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, তাই নির্বাচন বিলম্বের প্রয়োজন নেই। জনগণ প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য আশা করে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো দ্রুত শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায়ও একই দাবি উঠে এসেছে। দলটির মতে, প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণ এবং প্রেসসচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। এর ফলে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, “সরকারের প্রধান কাজ হলো সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। এ জন্য আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং মাঠ পর্যায়ে সংস্কার দরকার। এসব করতে চার থেকে ছয় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।”

তিনি আরও বলেন, “ভোটের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button