বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে: জাপানের পার্লামেন্টারি উপমন্ত্রী
বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে: জাপানের পার্লামেন্টারি উপমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি – বাংলাদেশ সফররত জাপানের পার্লামেন্টারি উপমন্ত্রী ইকুইনা আকিকো বলেছেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ ও ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩১০টিরও বেশি জাপানি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে অবস্থানরত জাপানের পার্লামেন্টারি উপমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, চলমান সংস্কার কর্মসূচি ও রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ায় জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের বিশাল অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জাপানের উপমন্ত্রী বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়েও জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) দ্রুত সম্পাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাপানের উপমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশে ৩১০টিরও বেশি জাপানি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে এবং এ সংখ্যা বাড়বে।’’ তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার প্রতি জাপানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুবিধা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ওয়ান-স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) কার্যকর করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানান।
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিষয়ে জাপানের উপমন্ত্রী একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এর জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে সমর্থন জানায় এবং একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের পক্ষে রয়েছে। এতে সব পক্ষের নৌ-চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা উচিত।’’
রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাপানের মানবিক সহায়তা ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরে ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া, জাতিসংঘের সহযোগিতায় দোহায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রেও জাপানের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাপানের পার্লামেন্টারি উপমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কে নতুন গতিসঞ্চারকারী হিসেবে অভিহিত করেন।