বাড়তি ভ্যাট উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
টেবিলের নিচ দিয়ে ঘুষ দেওয়ার পরিবর্তে বাড়তি ভ্যাট দেওয়াই দেশের উন্নয়নে সহায়ক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাড়তি ভ্যাট নিয়ে আমরা মাতারবাড়ী পোর্টসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। ভ্যাট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না, বরং এটি জাতীয় উন্নয়নের কাজে লাগানো হচ্ছে।’
সেমিনারে অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারের শিরোনাম ছিল ‘রিফর্মস ইন কাস্টমস, ইনকাম ট্যাক্স অ্যান্ড ভ্যাট ম্যানেজমেন্ট টু অ্যাড্রেস দ্য এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ’।
সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব। একসময় ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে টেলিফোন লাইন নিতে হয়েছে। এখন আমরা এমন সংস্কার করছি, যাতে ঘুষ দেওয়া বন্ধ হয়। ট্যাক্স, পলিসি এবং ভ্যাট ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে সিস্টেমকে আরও স্বচ্ছ করা হবে।’
বাড়তি ভ্যাটের সুফল
তিনি বলেন, ‘যদিও ব্যবসায়ীদের কিছু বাড়তি ভ্যাট দিতে হচ্ছে, তবে অন্য জায়গায় খরচ কমে যাচ্ছে। ঢাকা-বগুড়া রুটে ট্রাক ভাড়া কমার বিষয়টি এর একটি উদাহরণ। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন খাতে যেসব বাড়তি টাকা দিতেন, তা এখন কমছে। তাই একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’
এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ
তিনি জানান, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেরও সক্রিয় ভূমিকা রাখা জরুরি। স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি (এসটিএস) বাস্তবায়নের ওপর তিনি বিশেষ জোর দেন।
অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্যে উঠে আসে যে ভ্যাট ব্যবস্থার সংস্কার ও কার্যকর বাস্তবায়ন দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়তা করবে এবং এলডিসি থেকে উত্তরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
