ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যাহত নয়: ভারতের দাবি

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে বাংলাদেশের রপ্তানি ব্যাহত নয়: ভারতের দাবি
ডেস্ক:
বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও এর ফলে নেপাল বা ভুটানে ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি কোনোভাবে প্রভাবিত হবে না বলে জানিয়েছে ভারত। বুধবার (৯ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে আমাদের বিমানবন্দর ও বন্দরগুলোতে যানজট দেখা দেয়। এতে আমাদের নিজস্ব রপ্তানির ক্ষেত্রে বিলম্ব এবং ব্যয়বৃদ্ধি ঘটে। অনেক সময় পণ্য আটকে যাচ্ছিল। এসব কারণেই ৮ এপ্রিল থেকে সুবিধাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এটি নেপাল বা ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।”
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নোটিশ জারি করে। দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট অ্যান্ড কাস্টমস (CBIC) এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে।
কী ছিল ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা?
২০২০ সালের ২৯ জুন বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেয় ভারত, যার ফলে বাংলাদেশ স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারত। এটি ভারতের জন্যও একটি বড় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল।
বাংলাদেশের জন্য কী অর্থ বহন করে?
বাংলাদেশের জন্য এই সিদ্ধান্ত একটি বড় ধাক্কা হতে পারে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। কারণ ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারা বাংলাদেশের জন্য সময় ও খরচ উভয় দিক থেকেই লাভজনক ছিল।
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (GTRI) সহ-প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের রপ্তানিকারকরা, বিশেষ করে গার্মেন্টস খাতের ব্যবসায়ীরা অনেক দিন ধরেই এই সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।”
ভবিষ্যৎ প্রভাব কী হতে পারে?
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে তৃতীয় দেশভিত্তিক বাজারের ক্ষেত্রে কিছুটা চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুযায়ী, নেপাল ও ভুটানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানিতে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।