সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
ক্রিকেটার ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত প্রধান মহানগর হাকিম মো. মাহবুবুল হক এই আদেশ দেন।
আইএফআইসি ব্যাংকের রিলেশনশীপ অফিসার মো. শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে:
- সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
- ২০১৭ সালে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ও টার্ম লোন হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি যথাক্রমে এক কোটি এবং দেড় কোটি টাকা ঋণ নেয়।
- ঋণ পরিশোধের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ব্যাংক থেকে টাকা ফেরত চেয়ে একাধিক নোটিশ পাঠানো হয়।
- ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি চার কোটি ১৪ লাখ টাকার দুটি চেক প্রদান করে, যা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে বাউন্স করে।
সাকিব আল হাসানকে রবিবার আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন:
- গাজী শাহাগীর হোসাইন (ম্যানেজিং ডিরেক্টর)।
- ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম (ডিরেক্টর)।
- মামলায় প্রতিষ্ঠান সাকিব আল হাসান এগ্রো ফার্ম লিমিটেড-কেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার আইনি পদক্ষেপ
আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রথমে দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠায়। নোটিশ পাঠানোর ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ঋণের টাকা ফেরত না পাওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে আদালতের এই আদেশ তার জন্য বড় ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে এটি তার ক্রিকেট ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেও প্রভাব ফেলতে পারে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমে কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।